কিডনি সবল,সুস্থ রাখার উপায়,পদ্ধতি ও কৌশল কি কি

কিডনি সবল,সুস্থ রাখার উপায়,পদ্ধতি ও কৌশল কি কি

বিশেষ করে যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে তারা অনুকরণ করতে পারেনঃ
কিডনির অপর নাম কি ? কিডনির রোগ কি কি ? কিডনি রোগের লক্ষণগুলো কি কি ? কিডনি পরিষ্কার করে এমন ৯ টি খাবার কি কি ? কিডনির সমস্যা হলে কি কি খাওয়া যাবে না ? কিডনির জন্য কোন পানীয় ভালো ? কিডনির জন্য কোন পানি ভালো ? কিডনি ভালো রাখার উপায় । অসুস্থ কিডনি সুস্থ করার উপায় কি ? কিডনি ভালো রাখার ঔষধ আছে কি ? কিডনি রোগ কি ভাল হয় ? কিডনির পরীক্ষা কি কি ? কিডনি সবল,সুস্থ রাখার উপায়,পদ্ধতি ও কৌশল কি কি ?


কিডনি কিঃ
কিডনি হলো মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির অপর নাম বৃক্ক।এটি মূত্রনালী গ্রহণ করে এবং অবশিষ্ট পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বাহির করে।

এটি প্রাথমিকভাবে রক্তের পরিষ্কারক ও বালাইন্ডার হিসাবে কাজ করে, এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন সম্পাদন করে যা মহাশূন্যাকার প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে।

এই ফাংশন গুলো শরীরের প্রোটিন, এলেক্ট্রোলাইট এবং অসাধারণ পদার্থের স্তর নিয়ন্ত্রণ করে যাতে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।

সাধারণত প্রতিটি মানুষের দুটি কিডনি রয়েছে, এটি শরীরের সামগ্রিক অবস্থাকে সংজ্ঞান রাখে এবং শরীরের অপরিহার্য অংগ যা শরীরকে নিরাপত্তায় রাখে।


কিডনির রোগ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন:
১।অ্যাসিডোসিস (Acidosis)।
২।অ্যানেমিয়া (Anemia)।
৩।হাইপারটেনশন (Hypertensio...
৪।ক্যালসিফিক ফসফেট(Calcific Phosphate)।
৫।ক্যালসিফিক ফসফেট(Calcific Phosphate)।
৬।কার্সিনোমা (Carcinom)।
৭।ক্রমশঃ কিডনির সংক্রমণ(Chronic Kidney Infection)।
৮।ডায়ালিসিস রিলেটেড অ্যামিলয়াইড অনুষ্ঠান(Dialysis-related Amyloidosi)।
৯।ইন্টাক্ট কিডনি রোগ(Intact Kidney Disease)।

তবে  কিডনি রোগের  ধরণ অনুসারে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মত  উপরো ল্লিখিত ঔষধ সেবন করতে হবে। 
কিডনির রোগের লক্ষণগুলো হতে পারে:
>>ত্বকের রঙে পরিবর্তন।
>>অতিরিক্ত শ্রবণ বা মূত্রপ্রবাহের সমস্যা।
>>চোখের পাতার সাদা বা অনুবর্ণ হতে পা।
>>অতিরিক্ত গায়ের স্থুল স্বাদ।
>>মূত্রদানে দুর্গন্ধ বা অতিরিক্ত ফোয়ার্মিং।
>>হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ
>>পা ফুলে যাওয়া।
>>পেটে ব্যাথা অথবা ব্যথা।
>>হাড়ে ব্যথা বা পিছনের দিকের হাড়ে ব্যথা।


কিডনি পরিষ্কার করে এমন ৯ টি খাবার হতে পারে:
১।মুখরোচক ফল বা সবজি (যেমন-কমলা, পেঁপে)
২।প্রোটিনের খাবার (মাছ, মাংস, ডাল)।
৩।লবণ বজায় রাখার খাবার।
৪।কম চিনি ও মিষ্টি।
৫।শাক-সবজির খাবার (যেমন পালং শাক, বাঁধাকপি)।
৬।ফল (যেমন-আম, পেঁপে, স্ট্রবেরি)।
৭।গাজর, শশা, শিম খাওয়া। 
৮।ব্রোকলি, বেগুন, বাঁধাকপি।
৯। সুপ।


কিডনির সমস্যা হলে কিছু খাবার যেগুলো না খাওয়া উচিত সেগুলো হলো:
>>তেলে ভাজা ও রান্না করা মাংসের চর্বি জাতীয় কোন খাবার না খাওয়া।
>>অতিরিক্ত লাল,গোলাপি এবং কাঁচা তরমুজ খাওয়া উচিত নয়।
>>অধিক পরিমাণে মধু, চিনি, চিনি ও প্রক্রিয়া জাত খাবার, মিষ্টি থেকে দূরে থাকা উচিত।
>>অতিরিক্ত শীর্ষ শস্য-দ্রব্য যেমন-ডাল, ধনেপাতা, কোলার্ড গ্রিন, পটল ইত্যাদি কিছু খাবার কম খাওয়া উচিত।

কিডনির জন্য কোন পানীয় ভালোঃ
কিডনির জন্য ভালো পানীয় হলো পানি, যেমন-পরিমাণ পানি, নারিকেল পানি, নিরাপদ জল, সবুজ চা, নিরাপদ চা।

এছাড়াও মিল্ক, লো ফ্যাট দুধ, পানি দ্বারা তরলীকৃত যেতে পারে এবং কফিতে মিল্ক বা ক্রিম দ্বারা পরিবর্তিত হতে পারে।

বিশেষভাবে, ক্রোমিয়াম সহ কিছু খাবার, যেমন-শীতল ফল ও ফলের মৌসুমী খাবার, এবং উচ্চ মাত্রার পুষ্টিকর পানীয় হতে বেশি কাটছে।

কিডনির যেহেতু অধিক পানি প্রয়োজন তাই, পরিমাণ পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

অসুস্থ কিডনি সুস্থ করার উপায় হতে পারেঃ
১।ডায়েট পরিবর্তন ও সঠিক খাবারের পরিমাণের মেয়াদ মতো অনুসরণ  করা। 
২।উচিত পানি পান করা।
৩।উচিত ওষুধ পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা।
৪।নিয়মিত ওয়ার্কআউট ও ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করা। 
৫।স্নান করা।
৬।ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল বর্জন করা। 
৭।সহনশীলতা ও অবসাদ বিপন্ন করা।
৮।শরীরের ওজন নিয়ত্রণে রাখা।
৯।নিয়মিত চেকআপ ও ডাক্তারের পরামর্শের মেয়াদ মতো অনুসরণ।


কিডনি ভালো রাখার ঔষধ আছে, যেমনঃ
>>এ্যাসিড প্রোটেক্টর (Acid Protectors)।
>>অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)।
>>অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (Anti-Inflammatory)।
>>অ্যান্টিহাইপারটেনশন (Antihypertensive)।
>>ডায়ালিসিস মেশিনের অষ্ট্রা(Dialysis Machine)।
>>ডায়ালিসিস সেন্টার (Dialysis Center)।
>>ডায়ালিসিস ফিল্টার (Dialysis Filter)।
>>ডায়ালিসিস পাইপ সেট (Dialysis Pipe Set)।


কিডনি রোগ কি ভাল হয়ঃ
কিডনি রোগ ভাল হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসার পরামর্শ অনুসরণ করা প্রয়োজন। কিডনি রোগ শুধুমাত্র সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে ভাল হতে পারে। 

চিকিৎসা ব্যতীত নিয়মিত চেকআপ, উচিত খাবারের পরিমাণ ও ধরন, নিরাপদ ওষুধ সেবন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 

কিডনি রোগের আগমন বা প্রগতির কোন লক্ষণ বা সমস্যা হলে তা তাত্ত্বিকভাবে চিকিৎসা প্রাপ্ত করা উচিত। 

সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত যোগাযোগ সাধার্থ্যে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনির পরীক্ষা হতে পারেঃ
১।মূত্রপ্রবাহের পরীক্ষা।
২।মূত্রের পরীক্ষা।
৩।হৃদরোগের পরীক্ষা
৪।বাঁচার বৈদ্যশাস্ত্রিক পরীক্ষা।
৫।অন্যান্য চিকিত্সা পরীক্ষা।


কিডনি সবল,সুস্থ রাখার উপায় ও কৌশল হতে পারেঃ
১।নির্ধারিত ওষুধ সেবন।
২।নির্ধারিত খাবার ও পরিপাটির মেয়াদ মতো অনুসরণ  করা।
৩।উচিত মত পানি পান।
৪।নিয়মিত ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ।
৫।সহনশীল ও অবসাদ মুক্ত হওয়া। 
৬।ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা।
৭।নিয়মিত চেকআপ ও ডাক্তারের পরামর্শের মেয়াদমতো অনুসরণ  করা। 

এই সমস্যার সমাধানে অবশ্যই একটি ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কিডনি সবল,সুস্থ রাখার উপায়,পদ্ধতি ও কৌশল কি কি


FAQ PAGE FOR YOURS  

১।কিডনির অপর নাম কি ?
>>কিডনি হলো মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির অপর নাম বৃক্ক। এটি মূত্রনালী গ্রহণ করে এবং অবশিষ্ট পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বাহির করে।

২।সাধারণ কিডনি রোগগুলো কি কি ?
>>সাধারণ কিডনি রোগের মধ্যে রয়েছে কিডনিতে পাথর, কিডনি সংক্রমণ এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ।

৩।কিডনি রোগের লক্ষণগুলো কী কী ?
>>কিডনি রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে ক্লান্তি, পা ও গোড়ালি ফুলে যাওয়া, ঘুমাতে অসুবিধা এবং প্রস্রাবের ধরণে পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

৪।কিভাবে আমি আমার কিডনি সুস্থ রাখতে পারি ?
>>হাইড্রেটেড থাকা, সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ এড়িয়ে আপনি আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে পারেন।

৫।কিছু খাবার কি কি যেগুলো কিডনি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ?
>>যেসব খাবার কিডনি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে তার মধ্যে রয়েছে ক্র্যানবেরি, ব্লুবেরি, আপেল এবং রসুন।

৬। আমি কিভাবে কিডনি পাথর প্রতিরোধ করতে পারি ?
>>আপনি হাইড্রেটেড থাকার মাধ্যমে, আপনার লবণ খাওয়া কমিয়ে এবং অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করতে পারেন।

৭। কিডনি রোগ কি বংশগত হতে পারে ?
>>হ্যাঁ, কিডনি রোগ বংশগত হতে পারে। আপনার পারিবারিক ইতিহাস জানা এবং আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যেকোনো উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

৮। কত ঘন ঘন আমার কিডনি পরীক্ষা করা উচিত ?
>>বার্ষিক ভাবে আপনার কিডনি পরীক্ষা করানো বাঞ্ছনীয়, বিশেষ করে যদি আপনার কিডনি রোগ বা অন্যান্য ঝুঁকির কারণের পারিবারিক ইতিহাস থাকে।

৯। কিডনি রোগ বিপরীত হতে পারে ?
>>কিছু ক্ষেত্রে, কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে জীবনধারা পরিবর্তন এবং ওষুধের মাধ্যমে উল্টে যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

১০। কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণগুলি কী কী ?
>>কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ গুলির মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ধূমপান এবং কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস।

১১। প্রচুর পানি পান কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে ?
>>হ্যাঁ, প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকা শরীর থেকে টক্সিন এবং বর্জ্য বের করে দিয়ে কিডনির সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

১২। কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য কোন প্রাকৃতিক প্রতিকার আছে ?
>>কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের মধ্যে রয়েছে ভেষজ চা পান করা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা।

১৩। আমি কিভাবে কিডনি রোগে একজন প্রিয়জনকে সমর্থন করতে পারি ?
>>আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত একজন প্রিয়জনকে তাদের চিকিত্সা পরিকল্পনা অনুসরণ করতে উত্সাহিত করে, মানসিক সমর্থন প্রদান করে এবং তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পছন্দ করতে সহায়তা করে সহায়তা করতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments