প্রাণীবিজ্ঞানী দের গবেষণায় সূর্যমুখী ফুলের নির্ধারিত জাত

প্রাণীবিজ্ঞানী দের গবেষণায় সূর্যমুখী ফুলের নির্ধারিত জাত

সূর্যমুখী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম কি ? বিশ্বে সর্ব প্রথম কোন দেশে উৎপাদিত হয় ? সূর্যমুখী ফুলের ইংরেজি নাম ? সূর্যমুখী ফুলের রং কি ? সূর্যমুখী ফুল কোন ঋতুতে হয় ? সূর্যমুখী ফুলের বীজের দাম ? সূর্যমুখী ফুল চাষ পদ্ধতি ? সূর্যমুখী ফুলের বৈশিষ্ট্য ? সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা?সূর্যমুখী ফুলের জাত কত প্রকার ও কি কি ? সূর্যমুখী ফুলের প্রাণীবিজ্ঞানী কর্তৃক নির্ধারিত জাত কি কি?

You can follow or watch me ON GOOGLE NEWS 

সূর্যমুখী ফুলের বৈজ্ঞানিক:সূর্যমুখী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Helianthus annuus। এটি Asteraceae গোত্রের বর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী তেলপ্রদায়ী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত।এর কিনারে কিনারে ৩০ সেমি পর্যন্ত চওড়া হলুদ রশ্মি পুষ্পিকাসহ মুন্ডকমঞ্জরি (head) থাকে । বীজ থেকে তেল উৎপাদনকারী আর হাঁস-মুরগির খাবারের জন্য উপযোগী ।

বিশ্বে সর্ব প্রথম কোন দেশে উৎপাদিত হয়:এ ফুল বিশ্বে সর্ব প্রথম মেক্সিকোতে উৎপাদিত হয় বলে জানা যায়।

সূর্যমুখী ফুলের ইংরেজি নাম: Sunflower

 
সূর্যমুখী ফুলের রং ও ঋতু: সূর্যমুখী ফুলের রং সাদা, হলুদ বা নারংজি হতে পারে।তবে কিছু উপযুক্ত জাতে লাল রংযুক্ত হতে পারে। এটি প্রায়ই প্রথম গ্রীষ্মে বা বসন্তে বিচারিত হয়।

সূর্যমুখী ফুলের বীজের দাম: সূর্যমুখী ফুলের বীজের দাম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত এটি প্রতি কেজিতে মূল্যবান হতে পারে।

বীজ নির্বাচন: সূর্যমুখী ফুল চাষের জন্য বীজ নির্বাচন করুন। স্থানীয় বাজারে বা কৃষি সংস্থা থেকে উচিত গুণগত এবং বাজারে প্রয়োজনীয় বীজ অনুশীলন করা যায়।

মাটির প্রস্তুতি: মাটিতে প্রাথমিকভাবে জৈব সার এবং কম্পোস্ট মিশিয়ে মাটি উল্লেখিত ধরণের মাটির প্রস্তুতিতে লাগানো যেতে পারে।

বীজ বোনানো: এর বীজ উৎপাদন হেক্টর প্রতি প্রায় ৭৬০ কেজি হয়। এ ফুল পরিপক্ক হতে ৯০-১০০ পর্যন্ত সময় লাগে।সূর্যমুখী ফুলের বীজ মাটিতে ১-২ইঞ্চি গভীরভাবে বোনানো হয়। বীজ বোনানোর জন্য প্রতি ১২-২৪ ইঞ্চি দূরত্বে ১-২ বীজ বোনানো যেতে পারে।

সূর্যমুখী ফুল চাষ পদ্ধতি:
সূর্যমুখী ফুল বীজ বাগানে বোনানো হয়।প্রাথমিকভাবে শুকনা ধানের মতো বীজ বোনানো হয়। উদ্ভিদগুলি উঠে এসে হালকা জলাশয় এবং গুণগত মাটির পরিবেশে সংযোজিত হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিমাণ আলো, পরিমাণ পরিবেশন, পরিমাণ জল এবং পরিমাণ কালো মাটি প্রয়োজন।

পরিচর্যা: প্রাথমিক দিক থেকে বীজ বোনানোর পরে সূর্যমুখী প্রতিদিন রুটিন করে পানি দিতে হবে। যে পরিমাণ পরিস্কার এবং সুষম পানি সাপ্লাই করা যেতে পারে।

রোগ ও পোকা নিয়ন্ত্রণ: প্রতি সপ্তাহে বা প্রয়োজন অনুযায়ী রোগ এবং পোকা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। প্রয়োজন হলে সেচ বা রোগনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।


সূর্যমুখী ফুলের বৈশিষ্ট্য:
১।প্রধানতঃ সূর্যমুখী ফুলের শিরা সূর্যের দিকে মুখোমুখি হয়, এটি একটি ক্ষুদ্র মুকুল বা ফুলমালার মতো চারপাশে কোন প্রতিক্রিয়া করে না।
২।এটি সূর্যের দিকে মুখ করে প্রায় সব সময় সুর্যের অনুধাবন করে।
৩।এই ফুলটি একটি গায়কতার অংশগ্রহণ করে এবং সুর্যের দিকে ঘুরে যায়।
৪।এটি একটি গাছের একাধিক বিকল্পের ফুলগুলি উঠানোর ক্ষমতা আছে, যা তার সমগ্র বিকাশের ক্ষমতা বা সুপারিশ্রী হতে পারে।

সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা:
১।সূর্যমুখী ফুল হার্মন প্রতিষ্ঠা করে যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উপকারী।
২।এটি ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং ত্বকের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩।সূর্যমুখী ফুল সম্পৃক্ত উপকারী তেল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুণগত।
৪।এটা বনস্পতি বা উদ্ভিজ্জ ঘি এর মত বাদাম তেলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী ।
৫।এটা ভোজ্যতেল হিসেবে পুষ্টিমানের দিক থেকে সর্বোৎকৃষ্ট ।
৬।তাছাড়া এটা শরীরের রক্তে কলেস্টেরল কমানোর জন্য বিশেষ ভুমিকা পালন করে ।
৭।আবার এ তেল ভিটামিন এ,ডি,ই এবং প্রোটিন উপাদানে সমৃদ্ধ।

সূর্যমুখী ফুলের জাত কত প্রকার ও কি কি ?
সূর্যমুখী ফুল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং বহুধা জাতে উপযুক্ত বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠিত। সাধারণত, সূর্যমুখী ফুলের মুখ্যতঃ দুটি প্রধান জাত রয়েছে:

বারি সূর্যমুখী (Helianthus annuus): এটি সর্বপ্রথম আমেরিকার উত্তর প্রান্ত থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এই জাতের ফুলগুলি প্রায়ই ছোট এবং বাহু ধারণ করে, এবং বিভিন্ন রঙের হতে পারে। এটি মোটামুটি সহ্যকর পরিবেশে বোনা যায়।

হাইব্রিড সূর্যমুখী (Hybrid Sunflower): এটি প্রায়ই উচ্চ ফসল উত্পাদনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জাতের ফুলগুলি প্রায়ই বড় এবং মোটামুটি সমান আকারের। হাইব্রিড সূর্যমুখী বীজ পানিতে পোকা বা রোগের বিরুদ্ধে সহজে রেসিস্টেন্ট হয়ে থাকে।

এছাড়াও, কিছু প্রাণীবিজ্ঞানী ও বাগানের উদ্যোক্তা অন্যান্য সূর্যমুখী ফুলের জাত নির্ধারণ করেছেন, যেমন:
 
১। ডায়ামন্ড হেড সূর্যমুখী (Diamond Head Sunflower)
ডায়ামন্ড হেড সূর্যমুখী (Diamond Head Sunflower) একটি বিশেষ ধরণের সূর্যমুখী জাত। এই জাতের ফুলগুলি অন্যত্র দেখা যাওয়া সূর্যমুখীর তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় এবং বড় আকারের। এই জাতের ফুলের মধ্যে ডায়ামন্ডের মতো চকোর আকৃতির কুকুরছানার অংশগুলি রয়েছে যা এটিকে একটি অনন্য ও আকর্ষণীয় উপাদান দান করে।

সাধারণত এই জাতের ফুলের রঙ স্বাদু হয়ে থাকে এবং বীজের দাম অন্যান্য সাধারণ সূর্যমুখী জাতের তুলনায় বেশি হতে পারে। এই জাতের ফুল সাধারণত স্পেশাল অনুষ্ঠানে বা ব্যক্তিগত বাগানে উপকারিতা নিয়ে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি আকর্ষণীয় ফুল জাত যা বাগান ও আবাসিক অঞ্চলের সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

২। মিডনাইট সূর্যমুখী (Midnight Sun Sunflower)
মিডনাইট সূর্যমুখী (Midnight Sun Sunflower) একটি আকর্ষণীয় এবং অন্যত্র দেখা যাওয়া সাধারণ সূর্যমুখী জাত। এই জাতের ফুলের রঙ সাধারণত গভীর কালো বা মেঘের বেলা মেঘের মতো হয়। এই সূর্যমুখী ফুল প্রায়ই ক্রিসমাস অথবা অন্য উৎসবের জন্য উপযুক্ত হয়, যখন এই গাছগুলি উচ্চ উদ্ভিদ সম্পর্কে আকর্ষণীয় হয়। এই ফুলগুলি প্রায়ই রাতের প্রথম আলোর ক্ষেত্রে একটি সাদা জীবনের অধিকারী হয়ে থাকে এবং এদের অনেকটি জীবনের শেষ দিকে গভীর কালো হয়ে যায়।

এই ফুলের উচ্চতা প্রায় ৪-৫ফুট পর্যন্ত হতে পারে এবং এই ফুলের কান্ট সাধারণত ক্রিসমাস বা অন্যান্য উৎসবের জন্য সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এই ফুলগুলি সাধারণত রাতের আলোর ক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় বিকশিত আঙ্গিকে গভীর কালো আদর্শের জন্য প্রস্তুত হয়।

৩। ব্ল্যাক আইড সূর্যমুখী (Black-eyed Sunflower)
ব্ল্যাক আইড সূর্যমুখী (Black-eyed Sunflower) একটি বিশেষ জাতের সূর্যমুখী, যা অন্য সাধারণ সূর্যমুখী জাতগুলির থেকে বিভিন্ন আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এই সূর্যমুখীর মধ্যে ফুলের কেন্দ্রে একটি বেজে আকারের কালো অংশ থাকে, যা আকারে এবং রঙে একটি আই এর মতো দেখায়।

এই জাতের ফুল সাধারণত গোলাকার হয় এবং এদের উচ্চতা প্রায় ৩-৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এই ফুলের সাথে সমন্বিত গাছের গভীর কালো আদর্শের কারণে, এটি একটি আকর্ষণীয় ও অনন্য দেখতে এবং উদার বাগানের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

ব্ল্যাক আইড সূর্যমুখী ফুলের পেটালগুলি প্রায় সাদা বা যথার্থ হতে পারে, এবং ফুলের এই আকার ও রঙ এটিকে অন্যান্য সূর্যমুখী জাতগুলির থেকে আলাদা করে। এই ফুলগুলি প্রায়ই সাধারণ ফুল বেড়ে থাকা বাগানের জন্য ব্যবহৃত হয়, যার ফলে এই ফুলগুলি বাগানের দৃশ্যে একটি অনন্য এবং আকর্ষণীয় অংশ তৈরি করে।

এগুলো বিভিন্ন আকার, আকর্ষণীয় বর্ণ, আকার এবং বীজ পোষক মানের সাথে বিভিন্ন প্রত্যেকটি জাত প্রতিবিম্ব এবং সুস্থ ফুল প্রদান করে।


প্রাণীবিজ্ঞানী দের গবেষণায় সূর্যমুখী ফুলের নির্ধারিত জাত

FAQ PAGE For Users

১।সূর্যমুখী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম কি ?

  • সূর্যমুখী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হল Helianthus annuus।

২।বিশ্বে সর্ব প্রথম কোন দেশে উৎপাদিত হয় ?

  • সূর্যমুখী ফুল প্রথম মেক্সিকোতে উৎপাদিত হয়।
৩।সূর্যমুখী ফুলের ইংরেজি নাম কি ?
  • সূর্যমুখী ফুলের ইংরেজি নাম হল Sunflower।
৪।কি কারণে সূর্যমুখী ফুল বিশ্বে এত জনপ্রিয় ?
  • সূর্যমুখী ফুল একটি সুন্দর ফুল এবং এর তেল অনেক উপকারী গুণবিশিষ্ট
৫।সূর্যমুখী ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি ?

  • সূর্যমুখী ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর বড় এবং সজীব মুখ।

৬।কোন মাসে সূর্যমুখী ফুল উত্তর আমেরিকায় ফুটে ?

  • সূর্যমুখী ফুল উত্তর আমেরিকায় বোরো মাসে ফুটে।.
৭।সূর্যমুখী ফুলের পরিচিত বর্ণ কি ?

  • সূর্যমুখী ফুলের পরিচিত বর্ণ হল হলুদ।
৮।কোন ধরনের মাটি সূর্যমুখী ফুলের জন্ম নেয় ?

  • সূর্যমুখী ফুল জন্ম নেয় উপযুক্ত ড্রেনেজ সুবিধা সম্পন্ন মাটিতে।
৯।কি কারণে সূর্যমুখী ফুল সাধারণত গাছের দিকে তির্যক হয় ?

  • সূর্যমুখী ফুল সূর্যের দিকে তির্যক হয় কারণ এটি সূর্যের দিকে মুখ করে।
১০।কি কারণে সূর্যমুখী ফুলের বীজ এত গুরুত্বপূর্ণ ?
  • সূর্যমুখী ফুলের বীজ অনেক পোষক উপাদান যেমন ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন ধারণ করে। এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


Post a Comment

0 Comments