২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
রাতের পদ্মা সেতু |
একনজরে পদ্মা সেতু
এর দৈর্ঘ্যঃ
৬.১৫ কি.মি,এর প্রস্থঃ ১৮.২ মিটার,এর উচ্চতাঃ ৬০ ফুট।
মোট পিলারঃ
৪২ টি,মোট পাইলের সংখ্যাঃ২৬৪ টি,পাইলিং এর গভীরতাঃ ৩৮৩ ফুট।
অবস্থানঃ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও শরীয়তপুরের জাজিরা।
প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের আসামের ভুপেন হাজারিকা সেতু। এছাড়া ইরাবতী নদীর উপর নির্মিত পাকুক্কু সেতু মিয়ানমারের বৃহত্তম সেতু যার দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতুর অর্ধেক। নেপাল,ভুটান, শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানেও নেই এত দীর্ঘ সড়ক ও রেল সেতু।পানি প্রবাহের পরিমাণ ও গতি হিসেবে আমাজন নদীর পর পরই পদ্মা নদীর স্থান।
পদ্মা সেতুর আর একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হয়েছে বেয়ারিং সক্ষমতায় । কংক্রিটের পিলার এবং স্টীলের তৈরি সেতুর মাঝের পাটাতনে রয়েছে ১০ হাজার টনের ফিক্সন পেন্ডুলাম বেয়ারিং। এত শক্তিশালী বেয়া্রিং পৃথিবীর আর কোন সেতুতে নেই। ফলে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও টিকে থাকতে পারবে।
বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বানিয়েছে এই পদ্মা সেতু । এছাড়া এ সেতুতে একাধারে রয়েছে সড়ক ও রেলপথ। ফলে সেতুর মধ্যে দিয়ে দেশের প্রায় ৪ ভাগের ১ ভাগ অঞ্চল বা দক্ষিণাঞ্চলের পিছিয়ে পরা মানুষের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ নিবিড় হবে। নদীর ওপর পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটারের অধিক এবং পুরো সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার যা ভারতের সাড়ে ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সমান।
৪ টি বৃহৎ সেতু |
৪ টি বৃহৎ সেতু পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ভুপেন হাজারিকা সেতুর দৈর্ঘ্যের সাথে তুলনাযোগ্য। ভুপেন হাজারিকা সেতু ভারতের দীর্ঘতম সেতু। ইহা আসামের ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা লোহিত নদের উপর নির্মিত। এ সেতুটি আসাম ও অরুনাচল প্রদেশের মধ্যে সংযোগ সেতু হিসেবেও পরিচিত। দেখতে এই সেতুর সাথে পদ্মা সেতুর হুবহু মিল রয়েছে।
প্রতিবেশি মিয়ানমারের প্রধান নদী ইরাবতীর ওপরও পাকুক্কু নামে একটি সেতু রয়েছে।তবেএর দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতুর অর্ধেকের মত।পাকুক্কু সেতুটিতে ৪ কিলোমটার সড়ক পথ ও ৬ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে।
নেপালে পদ্মা সেতুর মত দীর্ঘ সেতু আর নেই। দেশটির কর্নালী নদীর উপর নির্মিত ১ কিলোমিটার দীর্ঘ খতিয়া ঘাট সেতুটি নেপালের দীর্ঘতম সেতু হিসেবে পরিচিত।
পাকিস্তানের
বৃহত্তম শহর করাচিতে দীর্ঘতম সেতুর নাম মালী রিভার ব্রিজ আর এর দৈর্ঘ্য ৫ কিলোমিটার।
0 Comments
uttamkumarroy067@gmail.com